ভারত বিভাগপূর্ব রাজনীতি

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী | - | NCTB BOOK
743
743
common.please_contribute_to_add_content_into ভারত বিভাগপূর্ব রাজনীতি.
common.content

১৯৩৭ সালের রাজনীতি

604
604

১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনঃ

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান তিনটি দল যথা কংগ্রেস, মুসলিম লীগ ও কৃষক-প্রজা পার্টি অংশগ্রহণ করে। এই নির্বাচনে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠন করে মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পার্টি। এই মন্ত্রিসভায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

জেনে নিই

  • ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নির্বাচন ছিল- ১৯৩৭ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন।
  • ১৯৩৭ সালে প্রাদেশিক নির্বাচনে পর যুক্ত সরকার গঠন করে কৃষক প্রজা পার্টি ও মুসলিম লীগ।
  • কৃষক প্রজা পার্টি গঠিত হয়- ১৯৩৬ সালে।
  • কৃষক প্রজা পার্টির প্রথম সভাপতি ছিলেন- এ. কে ফজলুল হক |
  • অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন- এ. কে ফজলুল হক।
  • ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে ফজলুল হকের নির্বাচনী প্রতীক ছিল- হুক্কা।
  • উপমহাদেশের নারীরা প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ লাভ করে এই প্রাদেশিক নির্বাচনে (১৯৩৭)।

নির্বাচনে জয়ী দলের আসন সংখ্যা

মুসলিম লীগ

৪০

কৃষক প্রজা পার্টি

৩৫

স্বতন্ত্র্য মুসলিম

৪১

স্বতন্ত্র হিন্দু

১৪

ফজলুল হকের উল্লেখযোগ্য অবদানঃ

  • ১৯৩৭ সালে প্রায় ১১ হাজার ঋণ সালিসি বোর্ড' প্রতিষ্ঠা করেন।
  • অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাশ করেন। ৩ ঢাকায় কৃষি ও ইডেন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
  • ১৯৩৮ সালে ফ্লাউড কমিশন' গঠিত হয়।
  • তিনি ১৯৪১ সালে মুসলীম লীগ ত্যাগ করেন।

common.content_added_and_updated_by

দ্বিজাতি তত্ত্ব

745
745

১৯৩৯ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলমান নামে দুটি আলাদা জাতির প্রস্তাব করেন। স্বতন্ত্র জাতিসত্তা হিসেবে ঘোষণা করে হিন্দু ও মুসলমানদের জন্য দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের যে প্রস্তাব আনেন তাই ইতিহাসে দ্বি-জাতিতত্ত্ব নামে পরিচিত।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
এ. কে. ফজলুল হক
জওহরলাল নেহেরু
মুহম্মদ আলী জিন্নাহ
রিয়াকত আলী খান
খাজা নাজিমুদ্দিন
চৌধুরী রহমাত আলী

লাহোর প্রস্তাব

1k
1k

১৯৪০ সালের ২৩ শে মার্চ পাকিস্তানের লাহোরে জিন্নাহর সভাপতিত্বে | মুসলিম লীগের বার্ষিক অধিবেশনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফজলুল হক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মূলকথা উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে একাধিক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন প্রসঙ্গে দাবি উত্থাপিত হয়।

জেনে নিই

  • লাহোর প্রস্তাব ঘোষণা করা হয় ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ।
  • লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন এ. কে. ফজলুল হক।
  • লাহোর প্রস্তাব অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
  • স্বতন্ত্র বাংলাদেশের বীজ লুকায়িত ছিল লাহোর প্রস্তাবে।
  • এ.কে. ফজলুল হককে শের-ই-বাংলা উপাধি দেওয়া হয় লক্ষ্ণৌতে।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
চৌধুরী খালেকুজ্জামান
আবুল হাশিম
এ কে ফজলুল হক
মাওলানা ভাসানী
এ,কে, ফজলুল হক
মহাম্মদ আলী জিন্নাহ
লিয়াকত আলী খান

ক্রিপস মিশন

461
461
  • ক্রিপস মিশন ১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ভারতে প্রেরিত একটি মিশন।
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান মিত্র পক্ষের বিরুদ্ধে যোগদান করে।
  • জাপানি আক্রমণে বিরুদ্ধে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এ দলকে উপমহাদেশে প্রেরণ করেন।
common.content_added_by

পঞ্চাশের মন্বন্তর

525
525

১৯৪২ সালে জাপানিরা বার্মা দখল করলে বার্মা থেকে বাংলায় চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, বাংলায় খাদ্যশস্য ক্রয় করে বাংলার বাহিরে সৈন্যদের রসদ হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । অসাধু, লোভী ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা খাদ্য গুদামজাত শুরু করে। এদিকে অনাবৃষ্টির ফলে বাংলায় খাদ্য উৎপাদনও হ্রাস পায়। পরিণামে বাংলায় ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে বা ১৩৫০ বঙ্গাব্দে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয় যা ‘পঞ্চাশের মন্বন্তর' নামে পরিচিত।

জেনে নিই

  • পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রেক্ষিতে রচিত চলচ্চিত্র- অশনি সংকেত।
  • অশনি সংকেত উপন্যাস রচনা করেন- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • অশনি সংকেত চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন- সত্যজিৎ রায়।
  • পঞ্চাশের মন্বন্তর প্রেক্ষিতে রচিত নাটক- নেমেসিস।
  • নেমেসিস নাটকটি রচনা করেন- নুরুল মোমেন ।
  • ম্যাডোনা-৪৩ চিত্রকর্মটি জয়নুল আবেদীন পঞ্চাশের মন্বন্তর এর প্রেক্ষাপটে আকেঁন।
  • পঞ্চাশের মন্বন্তর ছবি এঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

রশীদ চৌধুরী।
হাশেম খান।
জয়নুল আবেদীন।
শাহাবুদ্দিন
যামিনী রায়।

অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী

506
506

অবিভক্ত বাংলার তিনজন মূখ্যমন্ত্রী

  1. এ. কে. ফজলুল হক (১৯৩৭-১৯৪৩)
  2. খাজা নাজিমউদ্দিন (১৯৪৩-১৯৪৬)
  3. হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী (১৯৪৬-১৯৪৭)
common.content_added_by

এ.কে.ফজলুল হক

531
531

খাজা নাজিম উদ্দিন

490
490
common.please_contribute_to_add_content_into খাজা নাজিম উদ্দিন.
common.content

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

455
455
common.please_contribute_to_add_content_into হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী.
common.content

সতীদাহ প্রথা

479
479

মন্ত্রী মিশন

474
474
  • ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন এটলি ১৯৪৬ সালে তার মন্ত্রিসভার তিন সদস্যকে ভারতে প্রেরণ করেন।
  • উদ্দেশ্য- ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা অর্পন ও সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে আলোচনা, এই প্রতিনিধি দলকে মন্ত্রী মিশন নামে অভিহিত করা হয়।

১৯৪৬ সালের নির্বাচন ও সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রিসভা

  • ১৯৪৬ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আবুল হাসেম এবং সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ জয়লাভ করে। ২৪ এপ্রিল মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
  • হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী (গণতন্ত্রের মানসপুত্র) অবিভক্ত বাংলার ৩য় ও শেষ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
  • ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলায় প্রথম নির্বাচন হয় এবং ১৯৪৬ সালে ২য় ও সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion